সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিরগৌরবে সমুজ্জ্বল মহান বিজয় দিবস আজ হাওরে হানাদারদের নৌ-যোগাযোগ ভেঙে দিয়েছিল দাসপার্টি তাহিরপুরে সেতুর কাজ ফেলে চলে গেছেন ঠিকাদার কোটি টাকার মার্কেট এখন গরু-ছাগলের বিচরণক্ষেত্র হাদির সিটিস্ক্যান রিপোর্টে মস্তিস্কের আরও অবনতি বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ বিচার বিভাগ কখনো পুরোপুরি স্বাধীনতা পায়নি ‎আল আকসা কিন্ডারগার্টেনের বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা যেকোনও মূল্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান পিআইসি গঠনে গৌরারং ও কাঠইর ইউনিয়নে গণশুনানি সুনামগঞ্জের ১২০ কিলোমিটার সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান স্বামী-সৎ ছেলের বিরুদ্ধে প্রবাসী নারীর অভিযোগ, জমি না দিলে প্রাণে মারবে আঙ্গারুলি হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ মেরামতের দাবি দুটি হাতের রগ কর্তন, ১৮ বছর ধরে ন্যায় বিচারের আশায় প্রতিবন্ধী সহিবুর ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক সুনামগঞ্জে রিটার্নিং-সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হলেন যারা তফসিলকে স্বাগত জানালো জামায়াত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

ক্যান্সারে আক্রান্ত জামাল উদ্দিন বাঁচতে চান

  • আপলোড সময় : ১৬-১২-২০২৫ ০২:১৯:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-১২-২০২৫ ০২:১৯:২৫ অপরাহ্ন
ক্যান্সারে আক্রান্ত জামাল উদ্দিন বাঁচতে চান
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের এক জীর্ণ কুঁড়েঘরে প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত জামাল উদ্দিন (৪৫)। মরহুম ফয়েজ আহমদের ছেলে জামাল দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। চিকিৎসা তো দূরের কথা, নিয়মিত ওষুধ কেনার সামর্থ্যও নেই তার পরিবারের। জামাল উদ্দিনের সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও তিনটি অবুঝ ছোট সন্তান। উপার্জনক্ষম একমাত্র মানুষটি যখন অসহায়ভাবে বিছানায় পড়ে আছেন, তখন পরিবারটিও পড়েছে চরম মানবেতর জীবনে। স্থানীয়দের সহানুভূতিশীল সহযোগিতায় কোনোভাবে দিন কাটলেও প্রতিদিনের আহার জোটে না অনেক সময়। অন্ন-বস্ত্রহীন এই পরিবারটি একটি জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরেই আশ্রয় নিয়েছে। অসুস্থ শরীর নিয়েই সম্প্রতি প্রতিবেশীদের সহায়তায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেন জামাল উদ্দিন। এদিকে, চিকিৎসা ও সংসারের খরচ মেটাতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে নেওয়া ঋণের চাপে মাথাগোঁজার শেষ আশ্রয়টুকুও হারাতে বসেছে পরিবারটি। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জামাল উদ্দিনের একমাত্র চাওয়া জীবিত থাকতেই সমাজসেবার অনুদান হাতে পাওয়া। কারণ তিনি জানেন, তারপরে এই অসহায় সন্তানদের দেখার মতো আর কেউ নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জামাল উদ্দিন বলেন, আমি আমার পরিবারের জন্য কিছুই করতে পারিনি। অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো ওষুধও খেতে পারছি না। জানি, আমি আর বাঁচবো না। কিন্তু আমার চোখের সামনে যখন আমার ছোট ছোট সন্তানরা না খেয়ে থাকে, তখন বুক ফেটে যায়। আমি মারা গেলে ওদের কে দেখবে? আমি শুধু চাই, আমার সন্তানরা যেন অন্তত অন্নবস্ত্র পেয়ে মানুষ হতে পারে। সরকারের অনুদানটাই আমার শেষ আশা। এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুচিত্রা রায় জানান, আগামী ১৭ ডিসেম্বর সভায় বিষয়টি অনুমোদন হলে জামাল উদ্দিনকে অনুদান প্রদান করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স